উইন্ডোজ সেভেন শর্টকাট টিপস: খুব সহজেই গতিময় করুন আপনার কম্পিউটার ব্যবহার

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar , বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ৮:৩০:০০ PM

Shift+Right Click শর্টকাট
ফোল্ডার-ফাইল –এ মাউসের রাইট ক্লিক করে কি করা যায় না যায় সে সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই।শুধু যেটা ব্লব এখন তা হচ্ছে কিবোর্ডের Shift বাটনটা চেপে কাজটা করুনতো দেখি।এক্সট্রা আরো কিছু অপশনের দেখা পাবেন এখানে যে কিন্তু বেশ কাজের।যেমন লোকেশন এড্রেসটা কপি করা,কমান্ড উইন্ডোতে ওপেন করা,নিউ প্রসেস হিসেবে রান করানো,স্টার্ট মেনুতে পিন করা সহ আরো কিছু অপশন দেখতে পাবেন।কখনো না কখনো আপনার যা কাজে আসবেই,আমি নিশ্চিত। আর এভাবে কোন ফাইলে ক্লিক করে Sent To-তেও আরো বেশি লোকেশনে সরাসরি ফাইলটি পাঠাবার সুযোগ পাবেন আপনি।

‘’ run as administrator’’ শর্টকাট
উইন্ডোজ ভিসতা এবং সেভেনে অনেক এপ্লিকেশনই চলার আগে run as administrator হিসেবে চলার অনুমতি চায়।এই ঝামেলা থেকে বাচার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে যার মধ্যে আজ আপনাদের একটি কিবোর্ড শর্টকাট শেখাব।এপ্লিকেশনটিতে ক্লিক করার সময় কিবোর্ডের Ctrl+Shift চেপে ধরে রাখুন,তাহলেই হয়ে যাবে।

ভলিউম কন্ট্রোল করুন আলাদাভাবে
অনেকেই আমরা খেয়াল করে দেখি নাই যে উইন্ডোজ সেভেন সাউন্ড আইকনে ক্লিক করলে মিউট বাটনের নিচে মিক্সার নামে একটি নতুন অপশন আছে।কখনো এতে ঢুকেছেন কি?এর মাধ্যমে আপনি আপনার সিস্টেমে চলতে থাকা প্রতিটি প্রোগ্রামের সাউন্ড আলাদা করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।যেকন একটি প্রোগ্রামের সাউন্ড কমিয়ে আরেকটির সাউন্ড বাড়াতে পারবেন,যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই।

শাটডাউন বাটন ঠিক করুন
মাইক্রোসফটের আজব এক খেয়াল!স্টার্ট মেনু থেকে শাটডাউনকে বাদ দিয়ে সেখানে লক বাটনকে স্থান দিয়েছে তারা।এর কি মানে থাকতে পারে তা বোধোহয় অনেকেরই বোধগম্য নয়।এখন যাই হোক কষ্ট করে আপনিই না হয় কাজটা করে ফেলুন।
>> টাস্কবারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান।
>> Start Menu ট্যাবে যান।
>>Power button action ড্রপডাউন বক্স থেকে Shut Down সিলেক্ট করে Apply,Ok করুন।

নোটিফিকেশন এরিয়া কাস্টোমাইজেশন
উইন্ডোজ সেভেনের নোটিফিকেশন এরিয়াতে সাধারণত বাটনগুলা দেখা যায় না।বরং সেখানে থাকা এরোতে ক্লিক করলে বাটন দেখা যায় এবং এরপরে গিয়েই কাজ সারা যায়।কিন্তু আমার ধারনা যেসব প্রোগ্রামের নোটিফিকেশন এরিয়াতে বাটন থাকে সেগুলা বেশ গুরুত্বপূর্ণই বটে এবং সবসময় এগুলা দেখা গেলেই বরং কাজের সুবিধা হয়।

>> নোটিফিকেশন এরিয়াতে Customize-এ ক্লিক করুন।কন্ট্রোল প্যানেলের নোটিফিকেশন এরিয়া আইকন সেটিংস ওপেন হবে।
>> একদম নিচের অপশনে টিক দেয়া মানে সবগুলা আইকনই দেখা যাবে।
>> আর তা না করতে চাইলে প্রতিটি প্রোগ্রামের পাশের ড্রপডাউন মেনু থেকে কাংখিত অপশন নির্বাচন করে দিন।

>> আর সিস্টেম আইকন গুলারে সেটিংস পাবেন এই বক্সের নিচেই Turn system icons on or off-এ গিয়ে।

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার কাস্টোমাইজেশন
উইন্ডোজ সেভেনে এক্সপ্লোরার উইন্ডোতে এক্সপির মতো File,Edit বা Tools ট্যাব দেখা যায় না।

এই সমস্যার সমাধান করতে Organize ট্যাবে ক্লিক করে Layout থেকে Menu bar-এ টিক চিহ্ন দিয়ে দিন।আর Layout-এর নিচেই খুজে পাবেন সবার দরকারি Folder and search options অপশনটি।

উইন্ডোজে গডমোড এনাবেল করুন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৮:০৩:০০ PM

গডমোড সম্পর্ক-এ অনেকেরই ধারণা আছে।উইন্ডোজের যাবতীয় কন্ট্রোল সেটিংস উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার-এর মতো করে ব্রাউজ করা সম্ভব এই মোড ব্যবহার করে।

বিশেষত যারা নতুন পিসি ব্যবহাকারী,কোন সিস্টেম সেটিংস কন্ট্রোল প্যানেলে খুজতে গিয়ে যাদের নিজেদেরই হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে তাদের জন্য গডমোড অত্যাবশ্যক।গডমোড এনাবেল করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।আমি উইন্ডোজ সেভেনের জন্য সবচেয়ে সহজটি আপনাদারে বলছি।

>> প্রথমেই উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে বা ডেস্কটপে মাউসের রাইট ক্লিক করে একটি নতুন ফোল্ডার তৈরি করে নিন।

>> এবারে ফোল্ডারটিকে রিনেম করুন, নাম দিন
GodMode.{ED7BA470-8E54-465E-825C-99712043E01C}

>>দেখুন আপনার ফোল্ডারের আইকন চেঞ্জ হয়ে কন্ট্রোল প্যানেলের আইকন দেখা যাচ্ছে।এখন থেকে এখানেই ক্লিক করে যাবতীয় সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করাটাই আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।

উইন্ডোজের মাধ্যমেই যেকোন ড্রাইভ-এ বাড়তি স্পেস যোগ করুন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৭:৫৫:০০ PM

হার্ডডিস্কের যেকোন পার্টিশন ভাঙ্গা বা নতুন করে তৈরি করার কাজের জন্য অনেকেই আমরা থার্ড পার্টি টুল বা অপারেটিং সিস্টেম সেটাপের সময় প্রদত্ত মেনু ব্যবহার করে থাকি।এবং এই কাজগুলা করতে যেয়ে অনাকাংখিত সমস্যার সম্মুখীন হননি এমন মানুষের সংখ্যাটাও নেহায়েত কম না।উইন্ডোজ ৭ এসব যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে একাই একশ।এই আর্টিকেলে সেদিকে যাব না।আজ বলব অন্য কথা।ধরুন কোন কারনে সেভেন ইন্সটল করে ফেলেছেন এমন একটা ড্রাইভে যেখানে কিনা পর্যাপ্ত পরিমান স্পেস নেই এখন।শুরুর সময়তো আর এতোকিছু বুঝে কাজ করা হয়নি।এদিকে না আছে নতুন প্রোগ্রাম ইন্সটল করার মতো স্পেস না আছে উইন্ডোজ় নতুন করে ইন্সটল করার অবস্থা।কেননা জরুরী সব কাজের রেকর্ড তো এখানেই।এমন অবস্থায় পড়ার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে।আসুন দেখি তো এখন,এমন অবস্থায় করলে কি করতে পারেন আপনি।

এই পরিস্থিতিতে সহজ এক সমাধানের নাম হচ্ছে উইন্ডোজের কম্পিউটার ম্যানেজমেন্ট।সেখানকারই এক অধিবাসী Extend a Partion হতে পারে আপনার ত্রাণকর্তা।এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার হার্ডডাইভের খালি অংশ উইন্ডোজ বা অন্য যেকোন ড্রাইভের সাথে যুক্ত করে দিতে পারেন।

>> প্রথমেই কন্ট্রোল প্যানেল থেকে Administrative Tools এ যান।সেখান থেকে কম্পিউটার ম্যানেজমেন্টে যান।

>>বামপাশের Storage থেকে Disk Management সিলেক্ট করুন।ডানপাশের ঘরে আপনার সিস্টেমের সাথে যুক্ত মেমোরি ডিভাইসগুলার যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন।

>> এখন আপনি আপনার উইন্ডোজ ড্রাইভে যেখান থেকে স্পেস যুক্ত করবেন হার্ডড্রাইভের সেই পার্টিশনটি শুধু ফরম্যাট করলেই চলবে না এটিকে মুছেও ফেলতে হবে।মানে পার্টিশনটি ডিলিট করে ফেলতে হবে আপনাকে।এজন্য ড্রাইভটিতে রাইট ক্লিক করে Delete Volume-এ ক্লিক করুন।

>> উইন্ডোজ কনফার্মেশন চাইলে Yes প্রেস করুন।


>> এবারে আমরা এই অতিরিক্ত হার্ডডিস্ক স্পেস আমাদের কাংখিত ড্রাইভে যুক্ত করব।এজন্য কাংখিত ড্রাইভে মাউসের রাইট ক্লিক করে Extent Volume-এ ক্লিক করুন।

>> নতুন উইন্ডোতে Extend Volume Wizard ওপেন হবে।নেক্সটে যান।

>> পরের উইন্ডোতে স্পেস বাড়ানোর জন্য প্রাপ্ত মেমোরির পরিমাণ আপনাকে দেখানো হবে।এই মেমোরি সিলেক্ট করে নেক্সটে যান।

>> এবারে ফিনিশ প্রেস করুন।

কাজ হয়ে যাবে।তবে খুব সতর্কতার সাথে বুঝেশুনে কাজ করবেন।প্রতিটি মেসেজ/ওয়ার্নিং ভালো করে পড়বেন।হাজার হলেও ডাটা নিয়ে কাজকারবার তাই না?

আপনার সাটা হার্ডড্রাইভের AHCI এনাবেল রাখুন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৭:৪৪:০০ PM

বর্তমানে প্রায় সবারই হার্ডড্রাইভ সাটা ক্যাবলবিশিষ্ট।স্বভাবতই এর ডাটা ট্রান্সফার রেট অনেক বেশি আগের যেকোন মডেলের হার্ডড্রাইভের চেয়ে।কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি এর কতটা ব্যবহার করতে পারছেন?বা করছেন?জানেন কি হয়তো আপনার এই সাটা ড্রাইভটাই আপনাকে আগের আইডিই বা পাটা’র মতো পারফরম্যান্স প্রদান করছে?শুধুমাত্র কিছু সিস্টেম সেটিং-এর কারনে?সেটা নিয়েই বলব এখন।

ঘটনাটা ঘটে থাকে মূলত মাদারবোর্ড এবং অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতাদের কারনে।কেননা তারা এখনো হার্ডড্রাইভের ডিফল্ট ডাটা ট্রান্সফার মোড হিসেবে আগের প্রযুক্তিকেই ব্যবহার করে থাকে।তাই বর্তমান ড্রাইভগুলার সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে আপনাকে এর কনফিগারেশন পরিবর্তন করে AHCI বাএডভান্সড হোস্ট কন্ট্রোলার ইন্টারফেস করে দিতে হবে। এজন্য প্রথমে

>> স্টার্ট মেনুতে regedit লিখে রেজিস্ট্রি এডিটর ওপেন করুন।

>> HKEY_LOCAL_MACHINE\System\CurrentControlSet\Services\Msahci-এ যান।

>> ডানপাশের বক্স থেকে Start এন্ট্রিটির ভ্যালু 3 থেকে পরিবর্তন করে 0 করে দিন।

>> কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন।বায়োসে ঢুকুন।আপনার হার্ডড্রাইভের সাটা কনফিগারেশন খুজে বের করে তা AHCI করে দিন।সেভ করে বের হয়ে আসুন।

>> এবারে পিসি চালু করলে উইন্ডোজ আপনার হার্ডড্রাইভকে নতুন করে ডিটেক্ট করবে।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।এরপর আবার পিসি নিজেই রিস্টার্ট চাইবে।রিস্টার্ট দিন।কাজ শেষ।

উইন্ডোজ সেভেন কম্পাটিবিলিটি : কি,কেন এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৬:৪৮:০০ PM

একটা কথা জানেন কি?প্রযুক্তি বোদ্ধাদের অনেক তালিকাতেই উইন্ডোজ ভিসতা সবার উপরে অবস্থান করছে?কোন দিক দিয়ে?সবচেয়ে বাজে পণ্যের তালিকাতে!আর কেন উইন্ডোজ ভিসতা বাজে এই উত্তরটা আমরা সবাইই জানি।তা হচ্ছে হার্ডওয়ার এবং বিভিন্ন সফটওয়ারের সাথে এর কাজ না করার ক্ষমতা।ভিসতা কিভাবে এতোটা আনকম্পাটিবল হলো তার কোনো সন্তোষজনক জবাব আজো মাইক্রোসফট দিতে পারেনি।

তারপরো উইন্ডোজ ৭ নিয়ে বরাবরাই মাইক্রোসফট বড় বড় কথা বলে এসেছে।আর এই বড় কথাগুলার মধ্যে বড় স্থান দখল করে আছে কম্পাটিবিলিটি নিয়ে কথা।মাইক্রোসফট বলছে হালের সব সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার তো কম্পাটিবল হবেই সাথে সাথে আগের সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার চালাবার জন্যও বিশেষ পন্থা রাখা হয়েছে উইন্ডোজ ৭-এ।যদিও এসব কথা আপাতদৃষ্টিতে বাস্তবতার মুখ দেখেছে বলেই মনে হচ্ছে তবু এক্সপির তুলনায় এখনো বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে সেভেন।সেভেনে কম্পাটিবিলিটির জন্য মাইক্রোসফট সূচনা করেছে সম্পূর্ণ নতুন সিস্টেম ‘এক্সপি মোড’।এর মাধ্যমে আপনি আপনার উইন্ডোজ় সেভেনের ভেতরেই উইন্ডোজ এক্সপি চালাতে পারবেন।তবে বোধকরি এর চেয়ে ভার্চুয়াল মেশিন অনেক এগিয়ে।সেই সম্পর্কে একটু পরেই বলছি।এখন আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব উইন্ডোজ সেভেনের কম্পাটিবিলিটি অপশনের সাথে এবং শিখাব এর যথার্থ ব্যবহারের কলাকৌশল।

কম্পাটিবিলিটি কি?
উইন্ডোজ ৭ একদমই নতুন একটি অপারেটিং সিস্টেম।কিন্তু আপনি যেই পিসি ব্যবহার করেন তার হার্ডওয়ারগুলাতো আর নতুন না।সেগুলা যখন নির্মাতা প্রতিশঠান বানিয়ে বাজারযাত করে তখন নিশ্চয়ই তারা সেভেনের কথা মাথায় রাখেনি,তাই না?সফটওয়ারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।বর্তমান জমানার আমাদের ব্যবহার্য সবকিছুই বানানো হয়েছে এক্সপি কিংবা ভিসতাকে মাথায় রেখে।তাহলে?এই সবকিছু উইন্ডোজ ৭ এ ঠিকমতো চলবে তো?কেননা নতুন অপারেটিং সিস্টেম মানেই নতুন কিছু,আর যেহেতু সেভেনের কার্নাল আগের সব অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে আলাদা তখন কি হবে?এইসব কিছু মাথায় নিয়েই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৭ এ কম্পাটিবিলিটি ইস্যুটি নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করে গেছে।কম্পাটিবিলিটি মানে হচ্ছে এক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য বানানো সফটওয়ার বা হার্ডওয়ার আরেক অপারেটিং সিস্টেমে চলার ব্যাপারটা।যদিও ভিসতাতেও এই সিস্টেম ছিল কিন্তু তা কতটুকু কাজে এসেছে তা আমরা সবাইই জানি।তবে আশার কথা হচ্ছে সেভেনে তেমনটা হয়নি।এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার সেভেনের সাথে ভালোভাবেই কাজ করছে।বিশেষত পিসির বেশিরভাব হার্ডওয়ারের জন্য উইন্ডোজ ৭ এর ডিফল্ট ড্রাইভারই যথেষ্ঠ ভালো পারফরম্যান্স প্রদানে সক্ষম।

এবার আপনাদের বলবো বিভিন্ন সফটওয়ারের জন্য কম্পাটিবিলিটি অপশন কিভাবে ব্যবহার করবো সেটি।

প্রথমেই বিবেচনা করি আপনার কোনো সফটওয়ার ইন্সটল হতে চাচ্ছে না।তখন কি করবেন
>>প্রথমে সেটাপ ফাইলে রাইট ক্লিক করে ট্রাবলশ্যুট কম্পাটিবিলিটি সিলেক্ট করুন।


>>উইন্ডোজ নিজে নিজেই সফটওয়ারটির সমস্যা খুজে বের করার চেস্টা করবে।
>>এরপর উইন্ডোজ আপনাকে দুইটা অপশন দেখাবে।ট্রাই রিকমান্ডেড সেটিংস এবং ট্রাবলশ্যুট প্রোগ্রাম।

>>ঝামেলা এড়াতে চাইলে প্রথমটি নির্বাচন করে উইন্ডোজই সেই প্রোগ্রামের জন্য সম্ভাব্য সঠিক সেটিংস নির্বাচন করে সেটিকে রান করাবে।এজন্য আপনাকে স্টার্ট দা প্রোগ্রামে ক্লিক করতে হবে।আর উপরে আপনি দেখতে পাবেন কোন সেটিংস এপ্লাই করা হচ্ছে।এক্ষেত্রে উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ এর সেটিংস নির্বাচন করেছে উইন্ডোজ।

>>নেক্সটে ক্লিক করে চাইলে সবসময়ের জন্য এই সেটিংটি সংশ্লিস্ট প্রোগ্রামের জন্য সিলেক্ট করে রাখতে পারেন।
>>তবে ঝামেলা হলেও আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এইভাবে কাজ চালানোর চেয়ে ট্রাবলশ্যুট প্রোগ্রাম নির্বাচন করাটাই পরবর্তীতে ভালো ফল বয়ে আনে।
>>ট্রাবলশ্যুট প্রোগ্রাম-এ ক্লিক করলে পরের মেনুতে জানতে চাওয়া হবে আপনার কি সমস্যা হচ্ছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথমটিই আপনি টিক দিবেন যেটিতে বলা হচ্ছে আগের উইন্ডোজ ভার্সনে এটি চলতো কিন্তু সেভেনে চলছে না।নেক্সটে যান।


>>এবার জানতে চাওয়া হবে কোন উইন্ডোজে এটি চলতো।স্বস্তির কথা হচ্ছে উইন্ডোজ ৯৫ থেকে শুরু করে ভিসতার সার্ভিস প্যাক ২ বা এক্সপিসার্ভিস প্যাক ৩ সবই পাবেন তালিকায়।দরকারিটি টিক দিন।না জানলে কি করবেন?যদিও আই ডন্ট নো অপশনও রাখা হয়েছে তবে আমি বলব এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ নির্বাচন করে নেক্সটে যেতে।বৃথা যাবে না আপনার পরিশ্রম।

>>এবারে আগের মতোই।প্রোগ্রাম স্টার্ট করুন ও সেটিংস সেভ করে রাখুন।

এই পন্থাতো মূলত ইন্সটলের সময়ে কাজে লাগানোর জন্য।আর ইন্সটলের পর?বিশেষত গেমারদের কাজে লাগবে এমন পন্থা বলছি এখন।হয়তো অনেকেই এটি জানেন কিন্তু যারা জানেন না তাদের তো জানাতে হবে!
এপ্লিকেশন বা গেমের রান করার .exe ফাইলে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান।
>>কম্পাটিবিলিটি ট্যাব সিলেক্ট করুন।
>>কমাটিবিলিটি মোড থেকে ‘রান দিস প্রোগ্রাম ইন কম্পাটিবিলিটি মোড ফর’ বক্সটি চেক করে কম্পাটিবল অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করে দিন।

>>তবে যদি এপ্লিকেশনটি বেশি পুরানো হয় তাহলে আপনাকে নিচের অপশনগুলাও বুঝেশুনে টিক দিয়ে নিতে হবে,নইলে চালাতে পারবেন না।

পিসির গতি বাড়ানোর সহজ ২টি টিপস হার্ডওয়ার আপগ্রেড করুন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৬:২৮:০০ PM

এইটা সবাইই বুঝেন যে পিসির গতি বাড়ানোর জন্য হার্ডওয়ার আপগ্রেড করার চেয়ে ভাল কোন উপায় আর হতে পারে না।কিন্তু বাজেট স্বলপতার জন্য সবসময় কি আর তা করা সম্ভব?আর করলেও বা কতোটুকুই করবেন?কোনটা রেখে কোনটা আপগ্রেড করবেন?এই প্রসঙ্গেই কিছু কথা বলছি।মন দিয়ে শুনুন-

র‌্যাম বাড়ান,যতটা সম্ভব
এটি মনে হয় পিসির পারফরম্যান্স বাড়ানোর সহজতম ছোট টিপস। পকেটে টাকা আছে? থাকলে আজই কিনে ফেলুন র‌্যাম। কেননা পিসি চলাকালীন সময়ে যত কাজ হয় তার সবকিছুই ট্রান্সমিট হয় র‌্যামের মধ্য দিয়ে। তাই র‌্যাম মেমোরি যত বেশি হবে আপনার কাজও তত দ্রুত হবে এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই র‌্যাম মেমোরি বাড়ালে উইন্ডোজের পারফরম্যান্স এ পরিবর্তনটা ঈর্ষণীয় (!) পর্যায়ের। তবে খেয়াল রাখবেন নতুন র‌্যামটি যেন আপনার পুরাতন র‌্যামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাসস্পিড বিশিষ্ট হয়। নাহলে সিস্টেম হ্যাং করতে পারে। আর চেষ্টা করবেন বেশি বাসস্পিডের র‌্যাম কিনতে।

বর্তমানে বাজারে ডিডিআর২ ৫৩৩, ৬৬৭, ৮০০,১০৬৬ এবং ডিডিআর৩ ১৩৩৩ মেগাহার্জ স্পিডের র‌্যাম পাওয়া যাচ্ছে। আর আপনার মাদারবোর্ড যদি ডুয়েল চ্যানেল মেমোরি সাপোর্টেড হয় তাহলে র‌্যাম একটির বদলে দুটি কিনে র‌্যাম দুটি একই রঙের স্লটে স্থাপন করুন। ব্যাস। বর্ধিত বাসস্পিড পাবেন আপনি।

আপগ্রেড করুন আপনার গ্রাফিক্স কার্ড
বর্তমানে প্রায় সব মাদারবোর্ডেই ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স বা এজিপি কার্ড বিশিষ্ট। সাধারণ প্রায় সব কাজের জন্য এই ইন্টিগ্রেটেড কার্ডই যথেষ্ঠ। এই এজিপি কার্ডগুলো মূল র‌্যাম থেকে মেমোরি শেয়ার করে কাজ করে। তাই বর্তমানে অনেকেই যেই কাজটা করে বেশি করে র‌্যাম কিনে এই ইন্টিগ্রেটেড এজিপি থেকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পাবার চেষ্টা করেন। তারা ভাবেন, ‘এই ভাবে কম খরচে র‌্যাম যেমন বাড়ানো গেল তেমনি এজিপির কাজটাও চললো।’ হ্যাঁ, কথাটা হয়তো ঠিক আবার কিছুটা ভুল। কারণ ইন্টিগ্রেটেড এজিপি মেমোরি ৫১২ মেগাবাইট হতে পারে সত্যি কিন্তু তা কখনই আসল এজিপি কার্ডের সমতূল্য হতে পারে না। তাই গেমার বা প্রফেশনালদের বলছি, বাড়তি র‌্যাম লাগিয়ে এজিপি বাড়ানো এই কথাটি আপনাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।কারন মাঝারি মানের একটি এজিপি কার্ডের দামই যেখানে ৫০০০ টাকার উপরে সেখানে আপনার মাদারবোর্ডের দাম কতো ভাবুনতো একবার?মনে রাখবেন বর্তমানে মাদারবোর্ডের বিজ্ঞাপনে লিখা ১৭০০+ মেগাবাইট এজিপি কার্ডের চেয়েও আপনার ৫০০০ টাকা দামের ৫১২ মেগাবাইট এজিপি কার্ডের পারফরম্যান্স অনেক অনেক ভাল।আর লেটেস্ট গেমগুলার মধ্যে কিছু কিছু গেম কিন্তু ইন্টিগ্রেটেড এজিপি দিয়ে চালুই হয় না।

আর ভালোমানের দামী এজিপি কার্ডগুলার জন্য আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন হয়।সুতরাং সেক্ষেত্রে আপনার পুরাতন পাওয়ার সাপ্লাইটি পরিবর্তন করা লাগতে পারে।আর নতুন পিসি কেনার সময় বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

পিসির গতি বাড়ানোর সহজ ২টি টিপস হার্ডওয়ার আপগ্রেড করুন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৬:২৮:০০ PM

সিস্টেমের যেকোন সমস্যায় F8-এর ব্যবহার শিখে রাখুন

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar ৬:০৭:০০ PM

অপারেটিং সিস্টেম চালু হচ্ছে না।উইন্ডোজ রিপেয়ার করবেন।কিন্তু আপনার কাছে নেই উইন্ডোজ এর ইন্সটলেশন ডিস্ক।এমতাবস্থায় কিভাবে সিস্টেম রিপেয়ার করবেন?উপায় কিন্তু একটা ঠিকই আছে।আর তা হচ্ছে F8. এজন্য বুট স্ক্রীন দেখা যাবার পর উইন্ডোজ স্ক্রীন আসার পূর্বেই কী-বোর্ডের F৮ প্রেস করুন। Advanced Boot Options দেখতে পাবেন। এবারে একে একে আপনাদের জানাব এখানকার কোন অপ্সহনগুলার কি কাজ।

** Safe Mode : এটির ব্যবহার অনেকেই জানি আমরা। এই মোডে উইন্ডোজ শুধুমাত্র বেসিক টুলস/ইউটিলিটিসগুলো নিয়ে লোড হয়। কিন্তু ফাইল/সফটওয়্যার/ড্রাইভার ঠিকই মুছতে/আনইন্সটল করতে পারবেন আপনি।

** Safe Mode with Networking: সাধারণ Safe Mode -এ ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু ব্যাপারটা যদি এমন হয় সমস্যার সমাধানে আপনার ইন্টারনেট লাগবে তখন এই অপশন দিয়ে উইন্ডোজ লোড করতে হবে আপনাকে।

** Safe mode with command prompt: এটি পূর্ববর্তী কমান্ড প্রম্পট উইন্ডোই। আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে এটিকে।

** Enable Boot Logging: এটি দিয়ে ল্যান করালে উইন্ডোজ বুট হবার প্রতিটি ধাপ ‘সি’ ড্রাইভের উইন্ডোজ ফোল্ডারে btbtlog.txt লিখা হয়ে যাবে। এরপর যদি উইন্ডোজ চালু না হয় তাহলে Safe Mode -এ পিসি চালু করুন। সেভ হওয়া ফাইলটি পড়ুন। খুব সম্ভবত এই ফাইলের শেষ এন্ট্রিটিই আপনার পিসি চালু না হবার কারণ। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

** Enable low resulation video(৬৪০*৪৮০) : এর মাধ্যমে উইন্ডোজ তার রেকর্ডে থাকা সর্বশেষ ভালো রেজিস্ট্রি ও ড্রাইভার সেটআপসহ বুট করার চেষ্টা করবে।

** Directory Services Restore Mode: পিসি যদি এনটি ডোমেইন কন্ট্রোলার হয় তখন এইটার প্রসঙ্গ আসবে। অন্য আরেকদিন এটি নিয়ে বলবো।

** Debugging Mode: এটির আসলে তেমন কোনো ভ্যালু দেখছি না আমি। এটি আপনার পিসির সিরিয়াল পোর্ট ব্যবহার করে অন্য ভালো পিসিতে আপনার ডিবাগ ইনফরমেশন সেন্ড করে।

** Disable Automatic Restart on System Failure: এটি পূর্ববর্তী অপশনগুলোর থেকে একটু ভিন্ন। কাজ চলাকালীন ভিসতা ক্র্যাশ করলে খেয়াল করবেন যে, একটি নীল স্ক্রীনে কিছু লিখা এসে পিসি রিস্টার্ট হয়। মাইক্রোসফটই জানে ১/২ সেকেন্ডে এতো বড় এরর মেসেজ পড়ার যোগ্যতা কয়জন মানুষের হয়েছে এটা নিয়ে তাদের মতামতটা আসলে কি, কিন্তু আমি মনে করি এটা নিয়ে তাদের মতামতটা আসলে কি, কিন্তু আমি মনে করি এটা খুবই হাস্যকর এক নিষ্ঠুরতা! কেননা জরুরী এরর মেসেজটা যদি নাই পড়তে পারি তাহলে এর দরকারই বা কোথায়। তাই অটোমেটিক রিস্টার্ট ডিসেবল রাখলে আপনি শান্তিমতো এরর মেসেজ করে পরে ম্যানুয়ালি যা ইচ্ছা তা করতে পারবেন।

** Disable Driver Signature Enfarcemen: সাধারণত ৬৪-বিট ভিসতায় কিংবা সেভেনে আপনি ডিজিটালি সিগনেচার করা ছাড়া কোনো ডিভাইস ড্রাইভার ইন্সটল করতে পারবেন না। তাই নন সাইনড ড্রাইভার ইন্সটল করার জন্য এটি চালু করা লাগে।

50 টিরও বেশি ইফেক্ট দিয়ে ফটোকে করে তুলুন আসাধারন!

পোস্ট করেছেন Md.Kawsar , রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ৪:৩৬:০০ PM

ছবি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় খুব সহজেই আর তা যদি হয় আরও বেশি আকর্ষনীয় তাহলেতো সোনায় সোহাগা। এমন অসাধারন কাজটি আপনি করতে পারবেন একটি সফটওয়্যার দিয়ে। AMS Software Photo Effects Studio v2.55 নামের এই সফটওয়্যারটি মাত্র 16.41 Mb। এটি Free না হলেও Full version করার জন্য সাথে সিরিয়াল কী দেয়া আছে। খুব সহজেই আপনি এই সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করতে পারবেন। তাই আর বিস্তারিত বললাম না। আর যদি সমস্যা হয়ই তাহলে আমিতো আছিই। কমেন্টের মাধ্যমে তা জানাবেন।

Opportunities of the program:
• intuitively clear user interface
• Processing and scenery of photos
• More than 50 built in standard and original effects
• Change of the size, brightness, contrast, a saturation, colors, etc.
• Imposing various рамок in a photo, including traditional and original
• the Instant preview of effect before its application
• the Press of ready images on the printer.
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
আশা করি সবার কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।